আলিফ বাবা মায়ের ১মাত্র সন্তান। নম্র ভদ্র তার ব্যবহারে সবাই সন্তুষ্ট। প্রিয় খেলা ক্রিকেট। এমন খুব কম বিকেল গেছে, যে বিকেলে আলিফ ক্রিকেট খেলে নাই।
আলিফের এস এস সি পরিক্ষা শেষ। ালিফ চিন্তা করতেছে, প্রতিবার ইদ তার মন মত হয় না। তাই বন্ধুদের সাথে ঢাকা কাজ করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করল। আবার তার খেলা রেখে যাইতে মন চায় না। কিন্তু তাকে যে যেতেই হবে। অনেক বড় হয়েছে সে, এখন বাবার একটু আরাম দেওয়া চাই। বাবা মা ও তাই না করল না অভাবের সংসার।
ব্যাগ গুছিয়ে আলিফ ঢাকার পথে রওনা দিল। গাড়িতে উঠেই তার শুদু বাড়ির কথা মনে হচ্ছে। ঢাকাতে তার কাজ শুরু হয়ে গেল। প্রথমে খেলা আর মাকে মিশ করলেও পরে তেমন মনে পরে না। তার মনে একটাই স্বপ্ন সুন্দর একটা ইদ। আজ ১মাস হয়ে গেল আলিফ বেতন পেয়েছে ৯০০০। আর ১৫ দিন পর ইদ। মায়ের জন্য শারি ও বাবার জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনেছে। ২ দিন পর ইদ মালিক পক্ষ কিছুদিনের টাকা দিতে চায় না। আলিফ তখন মহা টেনশনে। অবশেষে টাকা দিল মালিক পক্ষ। গাবতলি বাস স্টেশনে দারিয়ে গন্থব্ব্য একটাই তার প্রিয় বাস ভুমি নীলফামারিতে যাওয়া।
অনেক কষ্টে বাসের টিকেট পাইছে আলিফ। বাসে চরে হটাৎ ঘুমিয়ে পরল। ঘুমের ঘোরে সে স্বপ্ন দেখতেছে, বাস দুর্ঘটনার স্বীকার হইছে। আলিফ খুব বেশি আহত হয়েছে। তার মনে করা আর ইদ করা হল না। মা বাবা কে উপহার দেওয়া হল না। আর বুঝি আমি মাঠে ক্রিকেট খেলতে পারব না।
হটাৎ বাস কন্ডাক্টর এর চিল্লানিতে তার ঘুম ভাঙল। বাস নিলফামারিতে পৌছে গেছে। এই মর্মান্তিক স্বপ্নতে তার দু চোখ জ্বলে ভরে গেছে।
বাসায় পৌছাইয়া তার মা কে দিল ডাক......... মা মা মা মা
আজ ইদ আলিফ অনেক খুসি। বন্ধুরা সবাই মিলে আনন্দ করতে লাগলো।
.................
লেখক
আদনান আশরাফ (আশরাফুল)
ধুর ব্লগ এতো ছোট হয়না রে বন্ধু, এটা আরোও ব্যাপক আর তথ্য সমৃদ্ধ হয়।
ReplyDeleteএইগুলা গল্প তো, ফেসবুকেই পাওয়া যায়। 😔😔